নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৮১নং তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ইউনিয়ন শিক্ষক নেতা আবদুল কাদের দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
জানা যায়,কচুয়া উপজেলার নাউলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কাদের সহকারী শিক্ষক বিগত ৬ অক্টোবর ২০২৩ কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১৫ দিনের ছুটির দরখাস্ত জমা দেন। কচুয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুভাস চন্দ্র দাস বলেন, সহকারী শিক্ষক আবদুল কাদের ১৫ দিনের ছুটির দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। ছুটি শেষে ২০ অক্টোবর ২০২৩ কর্মস্থলে যোগদানের কথা থাকলেও তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। এমনকি ছুটি বর্ধিত করার আবেদনও দাখিল করেনি।
এদিকে শিক্ষক আবদুল কাদেরের অনুপস্থিতির কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সহকারী শিক্ষকের অনুপস্থিতে বিদ্যালয়ের পাঠদানেও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সহকারী শিক্ষক আবদুল কাদের প্রায়শই বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে নির্ধারিত সময়ের আগেই চলে যান। শিক্ষক আবদুল কাদের কচুয়া উপজেলা সদরের বিশ্বরোডে এমএলএম মার্কেটিং ব্যবসার সাথে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত। স্কুলের পাঠদান ফাঁকি দিয়ে ব্যবসার কাজেই বেশি সময় ব্যয় করেন।
ঘুষ ও অনৈতিক ভাবে তার পরিবারের ৫ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মর্মে গ্রামের অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাউলা গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মৌলভী আবুল হোসেনের বড় ছেলে আবদুল কাদের,বড় মেয়ে মরিয়ম,ছেলে ফজলুল কাদের,মেজ মেয়ে খুকি,মেয়ে আরবের নেছাসহ পরিবারের কয়েকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি নিয়েছেন। বিপুল পরিমান সম্পদশালী হিসেবে গ্রামের অনেকের জমি-জমা জবর দখল এমনকি নারী নির্যাতন মামলা দিয়েও হয়রানি করেছেন তারা।
তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন মিলন বলেন,স্কুলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মোট ৭ জন শিক্ষকের মধ্যে আবদুল কাদের প্রায় একমাস স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ১৫ দিনের ছুটি নিলেও ১১ দিন বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে।
সহকারী শিক্ষক আবদুল কাদের এর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবক।
এ বিষয়ে কচুয়ার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুভাস চন্দ্র দাস বলেন,সহকারী শিক্ষক আবদুল কাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাকালীন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।